bangla premer kobita collection
মন দেখে ভালবাসো, ধন দেখে নয়,,,, ।গুন দেখে প্রেম কর, রুপ দেখে নয়,,,,। রাতের বেলায় সপ্ন দেখ, দিনের বেলায়নয়,,,…একজনকে ভালবেসো দশ জনকে নয়,,,,
Md Shohanur Rahaman
মৌচাক
আজকাল হরহামেশাই ভুল করি। রান্না বসিয়ে সানন্দা বা আনন্দ পত্রিকায় ডুব দিয়ে ডেকচি পুড়িয়ে কয়লা,ফোন লাইনে কাউকে বসিয়ে রেখে দিব্যি বাগানে বসে রোদ পোহাই, শাড়ির ওপর ইস্তিরি রেখে ভাবি, তোমার নীল শার্টের বোতাম টা কি লাগানো হয়েছিলো কখনো?
ভাবনাটা মনে আসতেই ভিন্ন এক জগতে প্রবেশ। আমি, সেই একুশ বাইশ বছরের তরুনী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি চত্বরে তোমার অপেক্ষায় এদিক ওদিক পায়চারী করছি আর ভাবছি অপেক্ষা করিয়ে রাখার জন্যে তোমায় কি কি শাস্তি দেয়া যায়। তুমি তড়িঘড়ি করে রিকশা
থেকে নেমে একটা লাল গোলাপ এগিয়ে দিয়ে কান ধরে বললে খুব খুব সরি। ব্যস নিমেষেই সব অভিমান বাস্প হয়ে উবে গেলো। অল্প বয়েসের মান অভিমান গুলো হিলিয়াম গ্যাসের মতন, একটু ছোঁয়াতেই বাতাসে হাওয়া।
রিকশা্র হুড ফেলে দুজনের হাওয়ায় ভাসতে মন চাইতো কিন্তু কেউ যদি দেখে ফেলে এই ভয়ে হুড তুলে ফুসুর ফাসুর,,খুনসুটি আর কারণে অকারণে টাইমমেশিনে চেপে ভবিষ্যতে কি কি হতে পারে তা ঘুরে আসা।আহ জীবন মা্নেই তুমি। সকালের টোস্টে তুমি,
ক্লাসে স্যারের চকের আগায় তুমি, বন্ধুদের আড্ডায় খালি কোণটাতে তুমি। কত কত স্মৃতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এদিক ওদিক ছড়ানো । অথচ সব উপচে শুধু মনে পড়ছে রিক্সার ঝাঁকুনি সামলাতে না পেরে তোমার শার্ট টেনে ধরায় শার্টের একটি বোতাম ছিটকে পড়েছিলো রাস্তায়। পিচ ঢালা পথে বোতাম পড়ার শব্দটা
আমি এখনো কান পাতলেই শুনতে পাই। সে শব্দে কেমন এক বিষাদ জড়ানো ছিলো। তুমি বলেছিলে, ‘শার্ট নিয়ে ভেবোনা , তুমি ঠিক আছো তো? ‘ আমায় নিয়ে আর কোন পুরুষ অমন উদ্বিগ্ন হয় নি কখনো। এখন জীবন টা কেমন নয়টা পাঁচটা অফিসের মতন, ঘড়ি ধরে মেপে মেপে চলে। তারপর ও কোথাও কোন ছন্দ বাজে
না। কিশোরী বয়েসে একটি মেয়ে স্বপ্নের মৌচাক তৈরি করে, তরুন বয়েসে সে মৌচাকের কুঠুরীতে নানা স্বপ্নের আড়ক ভরে নিজকে রানী মৌমাছি ভাবে,পরিণত বয়েসে এসে সে এক কর্মী মাছি । শেষ বয়েসে শূণ্য কুঠুরি থেকে মাঝরাতে হুহু কান্নার শব্দগুলো সংগী হয়ে তার বোবা
চোখ দুটো শীতল করে। তোমার নীল শার্টের বোতাম টা কি লাগিয়েছিলে? জানা হলো না। পোড়া গন্ধে বর্তমানে ফিরে দেখি শাড়ির আঁচলটা ইস্তিরির তাপে পুড়ছে। এভাবেই পোড়ে সব। পোড়ে মনের চিলেকুঠুরিতে অযত্নে পড়ে থাকা মৌচাক ।
কাজী রাহ্নুমা নূর
সাধারণ মেয়ে
আমি অন্তঃপুরের মেয়ে,
চিনবে না আমাকে।
তোমার শেষ গল্পের বইটি পড়েছি, শরৎবাবু,
‘বাসি ফুলের মালা’।
তোমার নায়িকা এলোকেশীর মরণ-দশা ধরেছিল
পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে।
পঁচিশ বছর বয়সের সঙ্গে ছিল তার রেষারেষি,
দেখলেম তুমি মহদাশয় বটে —
জিতিয়ে দিলে তাকে।
নিজের কথা বলি।
বয়স আমার অল্প।
একজনের মন ছুঁয়েছিল
আমার এই কাঁচা বয়সের মায়া।
তাই জেনে পুলক লাগত আমার দেহে —
ভুলে গিয়েছিলেম, অত্যন্ত সাধারণ মেয়ে আমি।
আমার মতো এমন আছে হাজার হাজার মেয়ে,
অল্পবয়সের মন্ত্র তাদের যৌবনে।
তোমাকে দোহাই দিই,
একটি সাধারণ মেয়ের গল্প লেখো তুমি।
বড়ো দুঃখ তার।
তারও স্বভাবের গভীরে
অসাধারণ যদি কিছু তলিয়ে থাকে কোথাও
কেমন করে প্রমাণ করবে সে,
এমন কজন মেলে যারা তা ধরতে পারে।
কাঁচা বয়সের জাদু লাগে ওদের চোখে,
মন যায় না সত্যের খোঁজে,
আমরা বিকিয়ে যাই মরীচিকার দামে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
bangla premer kobita collection
তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে।
যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে।
যদি থাকি কাছাকাছি,
দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি–
তবু মনে রেখো।
যদি জল আসে আঁখিপাতে,
এক দিন যদি খেলা থেমে যায় মধুরাতে,
তবু মনে রেখো।
এক দিন যদি বাধা পড়ে কাজে শারদ প্রাতে– মনে রেখো।
যদি পড়িয়া মনে
ছলোছলো জল নাই দেখা দেয় নয়নকোণে–
তবু মনে রেখো।
সেই তুমি
আমায় না বলে কিচ্ছু করা হয়ে উঠতোনা তোমার।
সকালে উঠেই শুভ সকাল দিয়ে দিন শুরু হতো
শেষ হতো চুমুতে।
এত বাধ্য , শান্ত, সৌম্য ছিলে তুমি
খুব ভয় হত কেউ যদি ঠকিয়ে দেয় তোমায়।
অন্যদিকে,সাধারণ আমি, দুবেনী আর কপালে টিপ ছিলো সর্বোচ্চ সাজ। তাই মনে মনে ভাবতাম এত কি পুণ্য করেছি যে তোমায় পেয়েছি ;
সব কিছু হাল্কা করে নেয়াতে তোমার জুড়ি ছিল না
হঠাৎ পকেট ফাঁকা জেনেও রিক্সা ধরিয়ে বেড়াতে
যাওয়া থেকে শুরু করে আমার বাবার রক্ত রাঙ্গা চোখের সামনে পড়ে
কোন রকম না ঘাবড়িয়ে নোট দিতে আসার অভিনয় , আমাকে মোহ মুগ্ধ করত।
মুগ্ধ হতাম তোমার কণ্ঠে , তোমার ঠোঁট টেপা হাসিতে মিথ্যে লুকোনোর ব্যর্থ চেষ্টার পর
নত চোরা চাহনীতে ,এমনকি তোমার হাই দেয়াটা পর্যন্ত ছিল আশ্চর্য সুন্দর।
আমার সব কিছুতেই ছিলো তোমার পূর্ণ মনোযোগ ।
সকালে কি খেলাম, রাতে ঘুম হয়েছিলো কিনা,
মুখের ব্রণ টা টাটায় কিনা আরো কত কি !
তুমি বলতে, আর বাড়ি এসে আমি ভাবতাম,
কি পুণ্যে তোমায় পেলাম।
অথচ আজ কতটা দিন ,মাস, বছর পেরোলো আমায় খুঁজলেনা তুমি।
সেই তুমি, যে আমায় ছাড়া পুরো একটা সিঙ্গারা
একা খেতে চাইতে না ।
কখনো যদি কলেজে না আসা হতো
অস্থির হয়ে পায়চারী করতে বাড়ির সামনের রাস্তায়,
অপেক্ষা করতে কখন বারান্দায় এসে দাঁড়াই ।
সেই তুমি, যে আমার জ্বর হয়েছিল বলে
সারাদিন না খেয়ে কাটিয়েছিলে,
আমি খারাপ রেজাল্ট করায় নিজের সার্টিফিকেট
ছিঁড়ে কুটিকুটি করেছিলে।
আজ সেই তুমি স্যূট টাই পরে নিপাট ভদ্রলোকের মতন নয়টা পাঁচটা অফিস করো। অবসর সময়ে গোলাপের মতন ফুটে থাকা বউ নিয়ে
সিনেমা দেখো বা শপিং করো।
কোথাও হঠাত মুখোমুখি হলে
আমাকে চেনা আর হয়ে ওঠেনা তোমার।
আর আমি, অবাক বিস্ময়ে ভাবি হয়ত ও তুমি
নও, তোমার মতন আর কেউ, আর কোন পুরুষ।
কিংবা নিপুন সুতোয় প্রেম বুনে যাওয়া
আর কোন প্রেমের কারিগর।
সে কিছুতেই তুমি নও । তুমি নও ।
কাজী রাহনুমা নূর
বন্ধুরা আমাদের এই bangla premer kobita collection সংগ্রহ কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবে না।
আমাদের আরও কিছু মজাদার পোস্ট ।
TOP 10 NEW CREAMED FB BANGLA ATTITUDE STATUS ENEMY SPECIAL
GOOD MORNING SMS FOR GIRLFRIEND IN BENGALI
11 ALL TIME BEST BANGLA ROMANTIC SMS