ছক ভাঙা ছবি মানেই আয়ুষ্মান খুরানা (Ayushmann Khurrana)। আর প্রতিটি ছবিতেই দর্শককে মুগ্ধ করেন তিনি। এবার এই ছক ভাঙার খেলায় তাঁর সঙ্গে সাহসী পদক্ষেপ করেছেন গর্জাস বাণী কাপুরও (Vaani Kapoor)। আর পাঁচটা গড়পড়তা লাভ স্টোরি যে এই ছবি নয় তা আগেই জেনে গেছেন দর্শক। কারণ এই ছবিতে বাণী কাপুর ট্রান্স জেন্ডার। গল্পের আইডিয়া Simran Sahni-র।
এদিও ওদিক গল্প নিয়ে ঢুঁ না মেরে সরাসরি মেন স্টোরি লাইনে ঢুকে পড়েছেন অভিষেক কাপুর। মানবীর দুনিয়ার সঙ্গে খুব ধীরে সুস্থে এবং ম্যাচিওরডলি পরিচয় করে দিয়েছেন দর্শকের। বাড়তি ড্রামাবাজি নেই গোটা ছবিতে। গল্প বলার ক্ষেত্রেও কোনও লার্জার দ্যান লাইফ অ্যাপ্রোচ নেই। এক স্পর্শকাতর সাবজেক্টের দারুণ ট্রিটমেন্ট হয়েছে অভিষেকের হাতে। তবে এই ছবির পরিচালনা যতার্থ ব্যাকআপ পেয়েছে অসাধারণ স্ক্রিনপ্লে এবং সংলাপের যুগলবন্দিতে। আর এর জন্য Supratik Sen এবং Tushar Paranjape-কে সাধুবাদ না জানিয়ে পারা যায় না। ছবিতে কোনও ডাল মোমেন্ট নেই। টানটান চিত্রনাট্য এবং গল্পের বুনোট ছবিকে দারুণ উপভোগ্য করে তোলে।
অভিনয়ের বিচারে আয়ুষ্মান খুরানা পারফেক্ট টু দ্য টি। চরিত্রের সঙ্গে মিলেমিশে গেছেন প্রথম থেকেই। অনেকদিন পর বা বলা ভালো এই প্রথম অভিনেত্রী বাণী কাপুরের দেখা মিলল। আর অবশ্যই নজরকাড়া Vaani Kapoor এবং Ayushmann Khurrana-র কেমিস্ট্রি। পার্শ্ব চরিত্রে কামাল করে দিয়েছেন Goutam Sharma, Gourav Sharma, Aanjjan Srivastav, Kanwaljit Singh, Tanya Abrol এবং Girish Dhamija।
বিন্দিয়া ছাবরিয়ার (Bindiya Chhabria) প্রোডাকশন ডিজাইনও তারিফযোগ্য। আর এই অন্য স্বাদের ভালোবাসার আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছে সিনেম্যাটোগ্রাফার মনোজ লোবোর (Manoj Lobo) হাতের জাদুতে। চন্দন আরোরা দারুণ এডিটিং করেছেন। অনেকদিন পর একটি ছবিতে গান মন ছুঁয়ে গেল। Sachin-Jigar-এর সাউন্ডট্র্যাক এবং Priya Saraiya, Vayu ও IP Singh-এর কথা যেন চিত্রনাট্যেরই অংশ। চণ্ডীগড় করে আশিকি আপনাকে জীবনের অনেক সিদ্ধান্ত এবং ভাবনা সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।